মসজিদে রেকর্ড আযান চালিয়ে সালাত আদায় করার বিধান
মোবাইল কিংবা টেপ রেকর্ড দ্বারা আযান দেয়া শুদ্ধ হবে না। দিলেও আযানের সুন্নত আদায় হবে না। যার কারণ একেবারে সুস্পষ্ট। কেননা, আযান হচ্ছে ইবাদত।
যা মানুষ তার শরীর ও মন দ্বারা আল্লাহর প্রতি ধ্যানমগ্ন হয়ে স্বেচ্ছায় আদায় করবে। এর সম্পর্ক একমাত্র মানুষের শরীর ও মনের সাথে।
যে কোন মেশিন দিয়ে আঞ্জাম দেয়া কোন ক্রমেই বৈধ নয়। অপরদিকে মোবাইল কিংবা টেপ রেকর্ডের আওয়াজ মানুষের মুখ নিসৃত আসল আওয়াজ নয়।
বরং তা হচ্ছে পূর্বে উচ্চারিত আসল আওয়াজের নকল বা প্রতিধ্বনিতুল্য মাত্র।
সে জন্যই তো কোন মানুষ যদি তালাক দিতে গিয়ে বলে যে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম।
আর তার ঐ কথাটি মোবাইলে কিংবা টেপে রেকর্ড করতঃ তিনবার বাজিয়ে দেয়া যায় তাহলে এতে তার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয় না।
ঠিক তেমনিভাবে কেউ যদি কারও প্রাপ্য হিসেবে নিজের উপর এক হাজার টাকার স্বীকার করে এবং তার কথাটি মোবাইলে কিংবা টেপে রেকর্ড করে বারবার বাজিয়ে দেয়া হয়।
তাহলে এতে এক হাজার টাকারই স্বীকারোক্তি হবে কয়েক হাজারের নয়।
বরং তা হবে পূর্ববর্তী আওয়াজের নকল এবং মেশিনের সাহায্য পুন:উচ্চারণ মাত্র।
এজন্যেই তো মোবাইল কিংবা টেপ রেকর্ডে উচ্চারিত তিলাওয়াতকে মূল তিলাওয়াতে হিসাবে কোরআনের মর্যাদা দেয়া হয় না।
ফলে মোবাইল কিংবা টেপ রেকর্ডে সেজদাহর আয়াত শুনলেও সেজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয় না।
মোটকথা রেকর্ডকৃত আজান দ্বারা আযানের সুন্নত আদায় হবে না ।
অনেক মসজিদে দেখেছি ইমাম বা মুয়াজ্জিন ব্যতিত আযান হতে।
আমি যদি সেই সকল মসজিদে সালাত আদায় করি সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
আপনি যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন যে মসজিদে মোয়াজ্জিনের মাধ্যমে আযান দেওয়া হয় সে মসজিদে নামাজ পড়তে তারপরও কখনো রেকর্ডকৃত আযানকৃত মসজিদে নামাজ পড়লেও নামাজ আদায় হয়ে যাবে যদিও আজান শুদ্ধ হয়নি।
তবে আজান শরীয়ত সম্মত পন্থায় না হওয়ায় এটা সুন্নত পরিপন্থী কাজ হবে।