ভাইরাস (covid 19) এর মত এমন মহামারি কেন আসে?
Table of Contents
করোনার ভাইরাস এর মত মহামারি গজব কেন আসে পৃথিবীতে?
বিশ্বব্যাপী করোনা এর কঠিন প্রাদুর্ভাব এর মাঝেও তিনি আমাদের সুস্থ রাখলেন নিরাপত্তা দিলেন আমরা শুরুতে সে মনিব আল্লাহ্ তায়ালাকে শুকরিয়া জানাই কৃতজ্ঞতা জানাই কালিমাতুশ শুকুর পরি আলহামদুলিল্লাহ্।
দুরুদ ও সালাম বিশ্বনবী সাইয়েদুল মুরসালিন ইমামুনা কুতুওাদুনা হাবিবুনা সালাতুনা তাবিবু কুলুবিনা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপর। সাহাবায়ে কেরাম ওশোহাদাইয়ে জামের আলা ইল্লিয়িন আল্লাহ্ তায়ালার কাছে কামনা করছি বলুন আমিন।
সম্মানিত ভাইয়েরা আমরা তামাম পৃথিবীতে একটি ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে দেখতে পারছি আর এর পিছনে শুধুমাত্র একটাই কারণ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে এই ভাইরাসটি খালি চোখে দেখা যায় না, এত ছোট সাধারণ মাইক্রোস্কোপে ধরা পরে না। এত ছোট একটি ভাইরাস আজকে তামাম পৃথিবীকে স্তব্দ করে দিয়েছে। আজকে থামিয়ে দিয়েছে তামাম পৃথিবীর মানুষের গতিকে, আজকে পরাজিত করেছে পৃথিবীর পরা শক্তি অধীকারি দেশ সমূহকে, আজকে যারা পৃথিবীতে সবচেয় বেশী ক্ষমতার দাপট দেখাত তারাই সবচেয় বেশী পর্যদুস্ত এবং অসহায় এবং আপনারা শুনেছেন ইতোমধ্যে ইতালি সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যারা রাষ্ট্র প্রধান তারাও আত্মসমর্পণ করছে। ইতালি প্রেসিডেন্টতো বলেই দিয়েছেন যে আমাদের চেষ্টা শেষ এখন যা করার করবে আকাশওয়ালা করবে।
অর্থাৎ আল্লাহ্ তায়ালার দিকে ইশারা করলেন যদিও সরাসরি আল্লাহ্র নাম নেননি। আল্লাহ্ তায়ালা ধরছেন যেভাবে ধরছেন নাম নেওয়েই ছাড়বেন আর কি!!!
মানুষকে আল্লাহ্ তায়ালা এই বুঝ দিতে চান যে ক্ষমতার মালিক একমাত্রকে
আল্লাহ্ তায়ালা
যে মানুষগুলু সামান্য ক্ষমতা পেয়ে তারা নিজদেরকেই ক্ষমতার উৎস দাবি করে বসেছিল, এবং আমাদের দেশে সংবিধানেও আছে আপনারা জানেন জনগন সর্বময় ক্ষমতার উৎস, জনগন সব ক্ষমতার মালিক এমন কথা বলার অভ্যাস মুসলমানদের ভিতরে তৈরি হয়ে গিয়েছিল, যে জনগন ক্ষমতার মালিক
ছোট্ট একটা ভাইরাস দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে কি বুঝাতে চাইলেন আমাদের ?
আল্লাহ্ তায়ালা ছোট্ট একটা ভাইরাস দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে বুঝাতে চাইলেন ক্ষমতার মালিক কে?
আল্লাহ্ তায়ালা
এই ভাবে বিভিন্ন সময়ে আজাব গজব অতীতেও এসেছিল এবং আল্লাহ্ তায়ালা এক এক জাতীকে এক এক আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন এমন ঘটনাও পৃথিবীতে আছে, একবারে সমূলে উধঘাঠিত করে ফেলেছেন। মূল সুদ্ধ উপরিয়ে ফেলা বটগাছ যেমন আল্লাহ্ তায়ালা মূল সহ উপরিয়ে ফেলেছেন এর মানে তার কোন শিকড়ও মাটিতে আর নাই এমন জাতিও ছিল যাদের অস্তিত পৃথিবীতে আর ছিল না, এমন ভাবে বিলিন হয়ে গিয়েছিল ঐ এলাকায় কোন জনবসতি ছিল সেটা অনুমান করার সুযোগও নাই। এই জাতীয় প্রাদুর্ভাব মহামারী বিপদ মাসিবত কেন আসে, আমরা আজকে সে বিষয়ে কথা বলব ইনশাআল্লাহ্।
আল্লাহ্ মহা বিজ্ঞানী, উনার প্রতিটা কাজের পিছনে হেকমত আবশ্যই আছে, তিনি উদ্দেশ্য বিহীন কোন কাজ করেন না, এই জাতিয় বিপদ মসিবত বালা এই গুলা যুগে যুগে এসেছে আমাদের মাঝেও একটি এসেছে তবে আমি (আবুল কালাম আজাদ বাশার) আমার বয়সে অথবা আমার ইলমের তার আগ পর্যন্ত যতটুকু লিখা পড়া করেছি এর ১০০ / ২০০ / ৩০০ বছরের ভিতরেও তামাম পৃথিবীকেই আচ্ছন্ন করেছে এমন কোন গজব ২০০ ৩০০ বছরে ঘটেছে এমন আমার জানা নেই। একটা গজব ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ রাষ্ট্রকে এটাক করে ফেলেছে আর বাকি কিছু আছে।
আমাদের এখন কি করা উচিত ?
আমরা দোয়া করি আল্লাহ্ যেন সবাইকে হেফাজত করে, আল্লাহ্ যেন মুক্তি দেন, মানুষের তার দিকে ফিরে যাওয়া উচিত, এই ভাইরাসের মহামারি, এই বিপদ, এই মসিবত, আল্লাহ্ তায়ালা কয়েকটি কারণে দিয়ে থাকেন এক নাম্বার কারণ হচ্ছে, এটা আল্লাহ্ তায়ালার একটি নিয়ম, আল্লাহ্ তায়ালা মাঝে মাঝে এই রকম বিপদ মসিবত দিয়ে দুনিয়ার মানুষকে reminder দেন, তাদেরকে তিনি সতর্ক করেন,
আল্লাহ্ তায়ালা কুরআন মাজিদে বলছেন,
وَلَقَدْ أَرْسَلنَآ إِلَى أُمَمٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَخَذْنَاهُمْ بِالْبَأْسَاء وَالضَّرَّاء لَعَلَّهُمْ يَتَضَرَّعُونَ
আর আমি আপনার পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতিও পয়গম্বর প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে অভাব-অনটন ও রোগ-ব্যধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা কাকুতি মিনতি করে।
Before thee We sent (apostles) to many nations, and We afflicted the nations with suffering and adversity, that they might learn humility.
সূরা আল আন-আম
আয়াত নং ৪২
সুবহানআল্লাহ তারা যেন বিনয়ী হয়, আজকে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০০ কোটি আপনারা জানেন যে, পোনে ২০০ কোটি মুসলমান বাকি ৬০০ কোটি কাফের, কাফেররা কি আল্লাহ্র কাছে আছে নাকি দূরে সরে গেছে, তো আল্লাহ্ বলেন আমি তাদেরকে ধরি মাঝে মাঝে তারা যেন বনয়ী হয়ে আমার কাছে আবার ফিরে আসে, এই যে ইতালীর রাষ্ট্র প্রধান তিনি বলে ফেলছেন যে আমাদের কাছে আর কিছু নাই, এখন কার কাছে আকাশ ওয়ালার কাছে মানে আল্লাহ্ কাছে, এটা কিন্তু কতটা বিপর্যস্ত হলে এমন লোকের মুখ থেকে কথাটা বের হয়।
এই বিপদ মসিবত সব কিছুকি আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে ?
আল্লাহ্ তায়ালা যদি এই ভাবেই ভাইরাসের মাধ্যমে আমেরিকা ধরেন, আল্লাহ্ না করুন, এই ভাবে রাশিয়াকে ভাইরাসের মাধ্যমে ধরেন, জাপানকে ভাইরাসের মাধ্যমে ধরেন, জার্মানিকে ধরেন, যারা পৃথিবীর পরাশক্তিধর রাষ্ট্র নিজদেরকে দাবী করেন, তাদের ঐ কথা বলতে বাধ্য হওয়া লাগবে আমাদের কিচ্ছু করার নাই সব কিছু করার মালিক আল্লাহ্, আল্লাহ্ বলেন আমি তাদেরকে বিনয়ী বানাতে চাই, এখন এই জাতিয় আজাব গজব আমি (আল্লাহ্) হুট করে দেই না, বরং এই গুলুর সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়ে রেখেছি কখন দেয়া লাগবে আমি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রেখেছি, কত আগে, আল্লাহ্ তায়ালা বলছেন
مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِّن قَبْلِ أَن نَّبْرَأَهَا إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
No misfortune can happen on earth or in your souls but is recorded in a decree before We bring it into existence: That is truly easy for Allah.
সূরা আল হাদীদ
আয়াত নং ২২
সুবহানআল্লাহ তাহলে কিছু মসিবত জমিন ব্যাপী হবে, শুধুমাত্র পৃথিবী একটি ভুখন্ডে সীমিত থাকবে না, وَلَا فِي أَنفُسِكُمْ আবার কিছু মসিবত হবে তোমাদের মাঝে আঞ্চলিক এ বিশ্বব্যাপি হোক আর আঞ্চলিক হোক إِلَّا فِي كِتَابٍ তোমরা এইটা মনে করোনা যে এইটা এমনেই এসে গেছে এইটা কিতাবের মাঝে আগেই লিখা আছে مِّن قَبْلِ أَن نَّبْرَأَهَ এবং সেটা লিখা হয়েছে সেটা আমি লিখেছি যেই জমিনে আমি বিশ্বব্যাপি আজাব দিলাম গজব দিলাম ঐ জমিনটা বানানোর আগেই,
আমি জমিন বানানোর আগেই লিখেছি, এবং সেটা লিখা হয়েছে সেটা আমি লিখেছি যেই জমিনে আমি বিশ্বব্যাপি আজাব দিলাম গজব দিলাম ঐ জমিনটা বানানোর আগেই, আমি জমিন বানানোর আগেই লিখেছি إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ আর তোমরা ভাবতে পার এইটা কিভাবে সম্ভব আল্লাহ্ বলেন আমি আল্লাহ্র কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নাই আল্লাহ্র কাছে এইটা একবারেই সহজ মানুষের কাছে তিনটি কাল আছে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ আর আল্লাহ্র কাছে কাল হল মাত্র একটা সেটা হল সবটাই বর্তমান এই জন্য সবটাই যেহেতু বর্তমান তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার তার জন্য বরই সহজ আমি আকাশ এবং জমিন বানানোর আগেই এটা আমি লিখে ফেলেছি এর পরে আবার বলছে
لِكَيْلَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ
এটা এজন্যে বলা হয়, যাতে তোমরা যা হারাও তজ্জন্যে দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তজ্জন্যে উল্লসিত না হও। আল্লাহ কোন উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না,
In order that ye may not despair over matters that pass you by, nor exult over favours bestowed upon you. For Allah loveth not any vainglorious boaster
সূরা আল হাদীদ
আয়াত নং ২২
বিপদ এর সময় কি করণীয় ?
لِكَيْلَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ যেই মসিবত আসল মসিবতের মাধ্যমে তোমাদের অনেক কিছু হারিয়ে যাবে, মসিবত আসতে পারে অর্থনৈতিক, মসিবত আসতে পারে তোমার শারীরিক, মসিবত আসতে পারে বিভিন্ন ভাবে, মসিবত আসতে পারে ভাইরাসের মাধ্যমে এই মসিবতের মাধ্যমে তোমার যা লস হয়ে গেল, এই লস হওয়ার কারণে তুমি আফসোস করোনা, কারণ এইটা যে হবে আমিতো জমিন বানানোর আগেই লিখেছি, সুতরাং তুমি চাইলেই এইটাকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তোমার থাকবে না, তোমার থেকে যা ফাউত হয়ে গেছে হারিয়ে গেছে লস হয়ে গেছে এই জন্য তুমি আফসোস না কর, কারণ এইটা হবে এইটাকে রুখার সাধ্য তোমার নাই।
وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ আর তুমি যা পাবে আমি সেটা লিখেছি জমিন বানানোর আগেই তাই তোমার অর্জিত বিষয়ের উপরে অহংকার করোনা যে তুমি অর্জন করেছ, বরং এই বিশ্বাস রাখা উচিত তুমি যেটা পেয়েছ সেটা আমি আল্লাহ্ই দিয়েছি, তাকদির আমি আকাশ এবং জমিন বানানোর আগেই লিখে রেখেছি তো এর মাঝেই এই বিপদ মসিবত গুলোও আছে, তাকদিরের ভিতরে কল্যাণ যেমন লিখা আছে অকল্যাণও লিখা আছে, আমরা যে ঈমান আনি, ঈমানের মাঝে যে সাতটি অঙ্গ আছে তার মধ্যে একটা আছে।