বিদায় বেলায় খোদা হাফেজ / আল্লাহ্ হাফেজ নয়
আল্লাহ হাফেয অর্থ “আল্লাহ হেফাযতকারী”।
এটা ফার্সি গ্রিটিংস ” খোদা হাফিয” থেকে এসেছে যা ইরান,আফগানিস্তান, ভারতবর্ষ এর মুসলিমরা ও মাজুসিরা ব্যবহার করে থাকে। হাফিয যদিও আরবী মূল।
এই গ্রিটিংস কিন্তু অগ্নিপূজারী পার্সিরাও ব্যবহার করে আর খোদা হলো পার্সি ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ দেবতা আহুর মাজদার শর্ট নাম।
এমনকি বর্তমানেও মাজুসীরা (পার্সি) এটি (খোদা হাফিয) ব্যবহার করে।
তবে খোদা শব্দটা ফার্সি শব্দ খোদ (অর্থ নিজ থেকে) থেকে এসেছে। এর অর্থ যে নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছে যা ইসলামি বিশ্বাসের বিরোধী। কেননা সৃস্তিকর্তার কোন সৃষ্টি থাকা সম্ভব নয় তিনি অনাদি চিরস্থায়ী। তাই খোদা শব্দের বদলে মুসলমানরা ১৯৯০ এর দশক হতে আল্লাহ ব্যবহার করা শুরু করেছে এবং এটি আল্লাহ হাফিয হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে। তাছাড়া , মুসলিম আলিমরা খোদা শব্দের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত ও নিষেধ করেন।
তবে হাদিসে বিদায়ের বা প্রস্থানের সময় সালাম দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই আল্লাহ হাফিয না বলে আমাদের সালাম দেয়া উচিৎ। আল বিদা শব্দটি ব্যবহার করা গেলেও সালাম দেয়াটাই হলো আল্লাহর রসূলের (সাঃ) নির্দেশ।
যেমন আবু হুরাইরা (রা). থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
যখন তোমাদের কেউ কোনো মজলিসে পৌঁছবে তখন সালাম দিবে। যদি বসতে চায় বসে পড়বে। এরপর যখন মজলিস ত্যাগ করবে তখনও সালাম দিবে। কারণ প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়। (অর্থাৎ উভয়টির গুরুত্ব সমান)
[জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭০৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫২০৮]
তাই “আল্লাহ হাফিয” বলা টা একটি নবউদ্ভাবিত বিদাআত। এটি পারস্যের মাজুসদের কালচার থেকে এসেছে, যা বর্জনীয়।
আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন।