আপনি হয়তো ভাবছেন, আপনি পর্দা করেন। কিন্তু কিয়ামাতের দিন যদি দেখেন, আপনার আমলনামায় পর্দা করার আমল নেই; বরং পর্দা না করার কবীরা গুনাহের অভিযোগ রয়েছে, কেমন লাগবে আপনার তখন?
বিস্ময়ে, ক্ষোভে কী করতে মন চাইবে আপনার?
আপনার কি মনে হবে, আপনার উপর জুলুম হচ্ছে?
অথচ আল্লাহ তো জালেম নন! বিন্দু পরিমাণ জুলুমও তিনি কারো উপর করেন না, তাহলে?
এরপর যখন জানবেন- আপনার পর্দা ভেবে করা পর্দা, আসলে পর্দাই নয়, আপনার হিজাব পুরুষদের বিকর্ষিত করেনি, বরং আরো আকর্ষিত করেছে, নিজেকে ঢাকার চেয়ে বরং, বোরকা পরেও নিজেকে স্মার্ট রাখার প্রতি আপনার মনোযোগ বেশি ছিলো,
তখন কী করবেন আপনি?
আপনি জানতেন- ঢিলেঢালা, একেবারেই সাদাসিধা হিজাব আপনার রবের আদেশ মানার জন্য অধিক উপযোগী; কিন্তু মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য ‘যা না ঢাকলেই নয়’ শুধু সেটুকুই ঢেকেছেন; এরপর নিজেকে আধুনিক প্রমাণের জন্য গায়ে জড়িয়েছেন বহু মূল্যের কারুকার্যখচিত ‘নামকা ওয়াস্তে হিজাব’, কখনো বা ‘বাঁধাকপি’র মতো স্কার্ফ!
মাঝে মাঝে আবার আগ বাড়িয়ে মুখখানি খোলা রেখে (সেটা আবার স্টিকার দিয়ে ঢেকে) মাই স্টোরিতেও আপলোড করেছেন। তাতে লাভ রিয়্যাক্টের বন্যা, আপনার মনে এক ধরণের আত্মতৃপ্তি দিয়েছে!
এই বিবরণ জানার পর আর কি কোনো অভিযোগ থাকবে, আপনার রবের প্রতি?
তখন কী করবেন আপনি, নাকি নিজের হাত নিজেই কামড়াবেন?
ক্ষোভ জমাবেন কি তাদের উপর, যারা আপনাকে উৎসাহ দিয়ে আরো বেশি পর্দাহীন হতে উৎসাহিত করেছে?
তাদের প্রতি ক্ষোভে কি আপনার পর্দা ফিরে আসবে?
না, বোন। কখনোই না!
বোন! সময় থাকতেই সতর্ক হোন। রবের দেয়া আদেশ পালনেই নিজের দেহের ও মনের শান্তি খুঁজে নিন। পর্দার নামে ব্যবসায়ীদের ‘মডেস্ট কালেকশনে’র ফাঁদে পা দেবেন না। আপনারা যদি পর্দার নামে বেইজ্জতি বন্ধ করে দেন, ব্যবসায়ীরাও আর সে পোশাকের প্রতি আগ্রহী হবে না।
আল্লাহ আমাদের সহীহ পর্দা করার তাওফীক দান করুক। আমীন।
মারকাযুন নাহদা