নেইলপলিশ ব্যবহারে সতর্কতা
নেইলপলিশ ব্যবহার করা কি উচিত ?
একটা মেয়ের সত্যিকারের ঘটনাঃ সে বললো —
আমি আমার বড় খালার বাসায় কয়েক দিন এর জন্য বেড়াতে গিয়েছিলাম… আমার বড় খালা অনেক পরহেজগার… ।
তো আমি হাতে পায়ে নেইলপলিশ দিচ্ছিলাম…তখন খালা আমাকে বল্লো, মা নেলপালিশ দিস না মা, আল্লাহ গুনাহ দিবে, তাছাড়া ইহুদী-খ্রীষ্টানের পতিতালয়ের মেয়েদের বৈশিষ্ট হলো নখে নেইলপলিশ দেওয়া (বানীতে: আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ)
আর জানিস নেলপালিশ দেয়া অবস্থায় কেও মারা গেলে তার নেলপালিশ সহজে উঠে না…।
আমি বড় খালার কথা কে হেসে উড়িয়ে দিলাম… রিমুভার দিলে তো উঠে যাবে খালা খালি ভয় দেখায়…!
কয়দিন পরে খালার প্রতিবেশী এক মহিলা মারা গেলো রাত ১ টাই… তো সবাই ভাবলো তাকে জোহরের সময় জানাজা পড়ায় মাটি দিবে..,
ততক্ষন তার লাস টা বরফ এর উপর রাখা হল… পুরা ঘরে কান্না কাটির আওয়াজ… যাই হোক, সকাল বেলা তাকে গোসল করাতে গিয়ে ইমাম সাহেবের বউ খেয়াল করলো তার হাতে পায়ে নেলপালিশ…!
ইমাম সাহেবের বউ আস্তে করে বের হয়ে তার স্বামী কে ইশারায় ডেকে কানে কানে বললো…!
ইমাম সাহেব তার সন্তান দের বললো, আপনার আম্মা কে দাফন করা যাবে না তার প্রতিটা নখে নেলপালিশ…!
যতক্ষণ নেলপালিশ না উঠবে দাফন করা যাবে না… আপনারা নেলপালিশ উঠানোর ব্যবস্থা করুন… লাস এর অনেক কষ্ট হচ্ছে…!
সবাই রিমুভার, কেরাসিন, ব্লেড দিয়ে চেঁছে দেখছে কোনো ভাবে নেলপালিশ কেও উঠাতে পারে নাই…!
এশার ওয়াক্ত হয়ে গেছে লাস ফুলে খারাপ অবস্থা… চারদিক দিয়ে পোকা মাকড় গিজ গিজ করছে নতুন বরফ আনা হচ্ছে…!
সবাই ইমাম সাহেব কে বলছে কি করা যায়…?
এমনি দাফন দেই, লাস আর রাখা যাবে না…!
ইমাম সাহেব বললো উনাকে এই অবস্থায় দাফন দিলে উনার কঠিন আজাব হবে…।
তখন অনেক চিন্তার পরে তার নক কেটে উঠায় ফেলা লাগলো এর পরে তার মাটি হলো ফজরের পরে…।
প্রিয় বোনেরা মৃত্যু কখনো বলে আসে না, আমি যখন নিজের চোখে এইসব দেখছি, দেখার পর থেকে আমি জীবনেও নেলপালিশ দেই না…! প্রিয় বোনেরা আপনারা যারা নেলপালিশ দেন বা আপনার কোনো আত্মীয় কে যদি দিতে দেখেন তাকে মানা করবেন…
আল্লাহ আমাদের সকল কে ঈমান এর সাথে মৃত্যু দিক কারো যেন কষ্ট না হয়।