প্রতি রাতে কাঁদা হয়
না পাওয়া জিনিসটার জন্য হয়তোবা প্রতি রাতে কাঁদা হয়!
কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে নির্ঘুম চোখে…
কখনোবা জায়নামাজে অশ্রুসিক্ত নয়নে রবের দরবারে…. বারবার মনে হবে, আমার রব কেন এত পরীক্ষা নিচ্ছেন!
রবের দূর্বল বান্দা যেন আরো দূর্বল হয়ে পড়ে।🖤
তারপর, অনেকটা সময় কেটে যাবে।
হঠাৎ একদিন মনে হবে, জীবনটা আমার পরিকল্পনার চেয়েও সুন্দর!
সেদিনের সেই পরীক্ষার দিনগুলো স্মৃতির পাতায় উঁকি দিবে….মনজুড়ে তখন বসন্তের হাওয়া!.
সেই পরীক্ষাই যেন আজকের আনন্দের গুরুত্বটা আরো গাঢ় করে তুলছে…
বারবার সেই আয়াতটা মনে পড়ে যাবে-
وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ ۚ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ
“তারাও পরিকল্পনা করেন, আল্লাহও পরিকল্পনা করেন। বস্তুত, আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।”
(সূরা আনফাল:আয়াত ৩০)
তাঁর উপর পূর্ন ভরসা রেখে দাঁতে দাঁত চেপে সবর করে যেতে হবে। নিশ্চয়ই আমার রব্বের ওয়াদা মিথ্যা নয়।
قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।
(সূরা ইউসুফ : আয়াত ৮৬)
তিনিই তো বলেন-
وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
(সূরা তালাক : আয়াত ৩)
কোনো একদিন তিঁনি এত বেশি দিবেন যে, কৃতজ্ঞতায় সিজদাবনত হয়ে পড়তে ইচ্ছা করবে।
সমস্ত দুঃখ এক নিমিষেই উধাও হবে।
হোক দুনিয়ায় বা তার চেয়ে হাজার কোটি গুন উত্তম স্থান “জান্নাতে“!
وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَىٰ
শীঘ্রই তিঁনি এত বেশি দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে।
(সূরা আদ-দুহা : আয়াত ৫)