Writing

দাওয়াত ছাড়াই বিয়ে/ওয়ালিমা/অনুষ্ঠানে যাওয়া

দাওয়াত ছাড়াই বিয়ে/ওয়ালিমা/অনুষ্ঠানে যাওয়া

অনেক সময় দেখা যায় একটি অনুষ্ঠানে খাবার সঙ্কট। দুই-তিন ব্যাচ খাবার পর শেষ ব্যাচ খাবার ঠিকমতো পায় না। অনেক ইফতার পার্টিতেও দেখা যায় রোজাদাররা ইফতার শুরু করার জন্য পানি, খেজুর পর্যন্ত পায় না। এমনটা হবার কারণ কী?

এটার অন্যতম কারণ হলো দাওয়াত ছাড়া অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতি। একটি অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হলো ১৫০-২০০ জন মানুষকে। সেই অনুযায়ী রান্না হবে, খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। ২০০ জনের জায়গায় না হয় ২১০/২২০ জন খেতে পারলো। কিন্তু, সেখানে যদি ২৫০ বা ৩০০ জন চলে আসে?

তাহলে তো খাবার সঙ্কট দেখা দেয়াটাই স্বাভাবিক।

অনেকেই শুধুমাত্র শুনছেন অমুক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে, ইফতার পার্টি। এটা শুনেই সেখানে খেতে চলে যান। যাদের বাজারে দোকান আছে, তারা বাজারের নিকটস্থ কমিউনিটি সেন্টারে নিয়মিত গিয়ে দুপুরের খাবার খান বিনা দাওয়াতে। এতে করে দুপুরের খাবারের টাকা বেঁচে যায়! নিজের সুবিধার জন্য আরেকজনের অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টি তখন দেখা হয় না। দাওয়াতের যিনি হোস্ট, তিনি গেস্টদেরকে ঠিকমতো খাওয়াতে না পেরে লজ্জা পান, কটু কথা শুনতেও হয়।

বিনা দাওয়াতে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আরেকজনের বিড়ম্বনার কারণ হবার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
ইসলাম কি এমন চালাকি সমর্থন করে?

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

“যে ব্যক্তি দাওয়াত ছাড়াই (কোনো অনুষ্ঠানে) উপস্থিত হলো, সে চোর হয়ে ঢুকলো এবং লুটেরা হয়ে বের হলো।”
[সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৪১]

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন চালাকির ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি করেছেন। চোর যেমন চুপিচুপি কোথাও ঢুকে, দাওয়াত ছাড়া যে একটি অনুষ্ঠানে যায়, সেও তেমন।
যারা সম্পদ লুট করে, তারা যেমন লুট করার পর বের হয়, দাওয়াত ছাড়া যে খেতে যায় সেও তেমন। তার খাওয়াটা লুট করার মতো হলো।
কেউ দাওয়াত দিলে দাওয়াত গ্রহণ করার ব্যাপারে ইসলাম যেমন উৎসাহিত করে, তেমনি দাওয়াত ছাড়া কোথাও যেতে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।

ইসলামের সৌন্দর্য (৩৬তম পর্ব)

আরিফুল ইসলাম

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture