পর্দায় থাকা অবস্থায় দেখে কেউ যখন জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি মাদ্রাসায় পড়ো?
উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে হয়তোবা তারা খুব সম্মানের চোখে দেখেন। আর কিছু জিজ্ঞেস করেন না। আর যখন উত্তর না হয় তখন তারা একটু আরচোখেই তাকান, মনে হয় কি যেন একটা ভুল বলে ফেললাম!
মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়ের ক্ষেত্রে পর্দার বিষয় টা তার পরিবার, সমাজ সবাই স্বাভাবিক ভাবেই নেয়। অথচ জেনারেল পড়ুয়া মেয়ের ক্ষেত্রে এটাকে অতিরিক্ত ঢং, অসভ্য আচরণ ইত্যাদি, ইত্যাদি ভাবে নেওয়া হয়। তারা মনে করেন পর্দা করাটা শুধু মাদ্রাসার মেয়েদের জন্যই ফরজ।
যদি তাই হয়, তবে বাকিদের জন্য এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে কি?
হুট করে বদলানোর জন্য পাশে আজ প্রতি দশকে শূন্য।
জংগী, খালাম্মা, পর্দা ওয়ালীরাই আজ কাল যত খারাপ কাজে জরিত ইত্যাদি..! কথা শুনানোর পর যখন দেখলো চুপ করে মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনতেছি তখন বলে উঠে, যাইহোক কয়েকদিনের জন্য ফ্যাশন না করলেই ভালো হয়, সারাজীবন এই ভাবে থাকতে পারলেই হলো।
এগুলো তো কিছুই না, যখন বুঝতে পারলাম এইসবে নিজের পাশে থাকা পরিবারের লোকজন ও বিরক্ত হয়।
ধীরে ধীরে তাদের বিরক্ত হয়ে উঠা টা আজ নিত্যদিনের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তারা নাকি এতে খুব লজ্জাবোধ করেন। কিছু বললে শুনিয়ে দেন, তারা ও পর্দা করে, করেছেন। বাহিরে যাওয়ার সময় বোরকা আর বাসায় থাকাকালীন মাথায় কাপড় দেওয়া এত টুকুই নাকি যথেষ্ট!!
বাসায় অতিথি আসলে পরপুরুষের সামনে যেতে না চাইলে ও তারা নিজেরাই হুটহাট রুমে নিয়ে আসেন সাক্ষাৎ করাতে, লজ্জায় তখন মরে যেতে ইচ্ছে হয়।
আমার চাইতে কম বয়সী তাদের বান্ধবীর মেয়ে কত স্মার্ট, চালাকচতুর আর তুই এই বয়সেই খালাম্মা সেজে থাকিস ।
এই ধরনের কথা ও তাদের সহ্য করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে।
নামাজ নিয়ে ও তাদের কটু কথা! এতক্ষণ লাগে নামাজ পড়তে?
আমরা কি নামাজ পড়ি না?
নতুন মুসল্লি হয়ছো?
ফরজ আদায় করতেই কত কাহিনী সহ্য করতে হয় নফল না হয় বাদ-ই দিলাম!
জেনেরাল লাইন থেকে দ্বীনের পথে ফেরা মেয়েদের পর্দা রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয়, জানেন তাদের বিপক্ষ দল কারা হয়?
তাদের নিজ পরিবার!
সমাজ তো পরের কথা।
একটা মেয়ের তখন যাওয়ার মতো কোনো স্থান ও থাকে না, সবার বিরুদ্ধে একটা মেয়ে লড়াই করে একটা মূহুর্তে ঠিকই সে হেরে যায়।
ওয়াল্লাহি তখনই মনে হয় রবের সন্তুষ্টে যদি তার মরণ হয়ে যেত.!!
আলহামদুলিল্লাহ এত কিছুর পরে ও