কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ
তোমরা (পর পুরুষের সাথে) বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন কর না। যাতে এরূপ লোকের অন্তরে আকাঙ্ক্ষা (সঞ্চার) হয়, যার অন্তরে কুপ্রবৃত্তি রয়েছে।
(সূরা আহযাব : ৩২)
নারীদের তেলাওয়াত পর-পুরুষের জন্য শ্রবণ করা জায়েয নয়। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২০০)
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;১৯/১৯৩ এ নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার (মারজুহ) রেওয়াতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অগ্রাধিকার দিয়ে বলা হয়েছে যে, পর-পুরুষের সামনে মহিলা বক্তৃতা দিতে পারবে না। বক্তৃতা প্রদান জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নারীরা ক্বারী হতে পারবে। তিলাওয়াত করতে পারবে। কুরআন হাদীসের ব্যাখ্যাও করতে পারবে। তবে পুরপুরুষের সামনে বা উন্মোক্ত কোনো পরিবেশে তিলাওয়াত বা ওয়াজ নসিহত করতে পারবে না। নারীরা ঘরের ভিতর শুধুমাত্র নারীদের সামনেই ওয়াজ নসিহত করতে পারবে।
সুতরাং ইউটিউবে নারীকন্ঠের কোনো তিলাওয়াত বা কোনো ওয়াজ নসিহত আপলোড দেয়া যাবে না। এবং দেয়া জায়েযও হবে না। যদি ঘটনাক্রমে ইউটিউবে কেউ দিয়ে দেয়, তাহলে সেই ভিডিওকে কোনো পুরুষ শুনতে পারবে না। পুরুষ শুনলে কোনো সওয়াব হবে না।উল্টো গোনাহ হতে পারে।