খুব আফসোস হয়! কলিজা ছিড়ে যায় যখন শুনি এই পবিত্র রমাদ্বানেও হারাম সম্পর্কে লিপ্ত থাকা মেয়েটা কথিত বয়ফ্রেন্ডকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সাহরি খাওয়ার জন্য ডেকে তুলে !
অথবা বয়ফ্রেন্ডটা তার গার্লফ্রেন্ডের কোরআন তেলাওয়াত, সালাত, বিভিন্ন আমলের হিসাব নেয় !
অথচ ওরা এতটাই নির্বোধ যে দুইজন দু’জনকেই জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একে অপরকে সহায়তা করছে !(যদিও নেক কাজের খোঁজখবর নিচ্ছে কিন্তু তারা আদৌ জানে না যে তারা কতবড় গুনাহে লিপ্ত রয়েছে) এই পবিত্র রমাদ্বানেও শয়তানের পাতানো ফাঁদ থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারেনি।
সে তাদেরকে (শয়তান) প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। আর শয়তান তাদেরকে কেবল প্রতারণামূলক প্রতিশ্রুতিই দেয়।
[সুরা আন নিসা, ১২০]
অথচ কবরের চাপ আর আগুনের উষ্ণতা এই সমস্ত জেনার সম্পর্ককে মুহুর্তের মধ্যেই কবরে ভুলিয়ে দিবে ।
প্রিয় ভাই ও বোন, একটিবারও কি ভাববার সময় তোমার হয়ে উঠবে না?
চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল দেখেও কি একটু সতর্ক হবে না!!
মৃত্যু আসলে ফেরার সময় কি আর পাবে??
বল,‘আমার রব তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজ- যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে, আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর সাথে তোমাদের শরীক করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর উাপরে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না’।
[সুরা আল আরাফ: ৩৩]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাদের হেদায়াত দিন।
আল্লাহুম্মা আমিন।