কিছু মৃত্যুর আলামত আছে এটাই প্রমাণ করে এটা ভাল মৃত্যু নয় এরকম আলামত আছে নাকি নাই,
১. আত্মহত্যার মৃত্যু (সমাজে আছে নাকি নাই, কি জন্য মরে, কেন মরে, বয়ফেন্ড গালি দিছে এজন্য, )
من قتل نفسه شي عذبه يوم القيامة
যে জিনিস দিয়ে যে যাকে মেরেছে আত্মহত্যা করেছে suicide করেছে কেয়ামতের দিন সেই জিনিস দিয়ে সে তাকে মারবে, এটাই হবে তার শাস্তি।
ওড়না পেচিয়ে যে আত্মহত্যা করল তার শাস্তি হবে ওড়না পেচানো, বিষ খেয়ে যারা মারা গেল তার শাস্তি জাহান্নামের বিষ খাবে আর চিৎকার করবে। ছুড়ি ডুকিয়ে যারা মারা গেল তাদের শাস্তি হবে জাহান্নামের আগুনের জলসানো ছুড়ি ডুকাবে, আল্লাহ্ আত্মহত্যা থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাক, আমাদের ছেলে মেয়দেরকে বাঁচাক, সবাই বলেন আমিন,
আজীবন কালিমা পড়ে নাই, আজীবন কালিমারে বাশ দিয়েছে এখন মরার সময় সবাই বলে কলমা পড়েন কলমা পড়েন, সেও কালেমা পড়তে চায়, এখন পড়তে চায় কিন্তু মুখ দিয়ে বের হয় না। কলমা পড়তে পারে না, আটকায়ে যায় মরে যায়, এই মৃত্যুটা কি ভাল,
না।
অনেকে মদ খেতে খেতে মারা যায়, আছে নাকি নাই, জুলুম করতে করতে মরে আছে নাকি নাই। অন্যের জায়গা দখল করে মরে আছে নাকি নাই, যে কোন কবীরা গুনাহ করা অবস্থায় মারা যায়, এটা খারাপ মৃত্যু অপমৃত্যু, এটা জান্নাতি মৃত্যু নয়।
এরপর হল বিশ্বনবী বললেন, কোন ছেলে যদি মারা যায় এমন অবস্থায় মা বাবা তার উপর রাগান্বিত এটা কি ভাল মৃত্যু ?
না।
গোটা পৃথিবীর বুকে মায়ের চেয়ে আপন কিছু আছে নাকি? না । এই মায়ের মনে কষ্ট দিয়ে ঐ অবস্থায় যদি মারা যায় এই মৃত্যুটা অনেক খারাপ মৃত্যু। এজন্য আমাদের উচিৎ মায়ের সাথে ভাল আচরণ করা সব সময়। যার মা নাই সে বুঝে মা না থাকার কি জ্বালা
যখন রাত্রি নিঝুম
নেই চোখে নেই ঘুম
একলা শূণ্য ঘরে
তোমায় মনে পড়ে মাগো
তোমায় মনে পড়ে
এজন্য মায়ের দোয়া সবচেয়ে বড় দোয়া, মা রেগে আছে, বাবা রেগে আছে, মা রাগ করে বদ দোয়া দিয়েছে, বাবা রাগ করে বদদোয়া দিয়েছে, বাবা আপনার উপর অসুন্তষ্ট এমতাবস্থায় যদি ছেলে বা মেয়ে মারা যায়। এটাকি ভাল মৃত্যু ?
না।
এরপরে স্বামী যদি নাখোশ থাকে স্ত্রীর উপর, স্বামী যদি স্ত্রীর উপর রেগে থাকে, অসন্তুষ্ট থাকে ঐঅবস্থায় যদি স্ত্রীর মৃত্যু হয় সেটাও স্ত্রীর জন্য খারাপ মৃত্যু। এটাও খারাপ মৃত্যু স্ত্রীর জন্য ।
কোন লোক মারা গেলে যদি এলাকার মুসলমানেরা খুশি হয় এটাকি ভাল মৃত্যু। কোন লোক মারা গেলে যদি এলাকার মুসলমানেরা যদি আল্লাহ্র কাছে শুকরিয়া করে এটাকি ভাল মৃত্যু নাকি ?
না। হলে সেটাও খারাপ মৃত্যু। কারণ সমাজে জালিম কিংবা খারাপ লোকের মৃত্যু হলে অনেক প্রতিবেশী খুশী হয়।
আমরা কি ভাল মৃত্যু চাই নাকি খারাপ ?
আমরা শাহাদাতি মৃত্যু চাই, ঈমানি মৃত্যু চাই বলেন আমিন।
بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا. وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
সূরা আল আ’লা – Surah Al-A’la
আয়াত নং ১৬ ও ১৭
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াটাকে তোমরা বড় মনে কর আসলে এটা বড় না, বড় হল আখিরাতের জীবন, এই জন্য আখিরাতের জীবনের জন্য প্রস্তুত আছেন নাকি নাই ?
মরণ হচ্ছে সবচেয় বড় প্রস্তুতি, মরণের চিন্তা। যে নিজেকে সোজা করতে চায় মৃত্যুর চিন্তায় তার জন্য যথেষ্ট।