কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ইবরাহিম আ. কে কাপড় পরিধান করানো হবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً (كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيْدُهُ) الآيَةَ وَإِنَّ أَوَّلَ الْخَلاَئِقِ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ
“নিশ্চয়ই তোমাদের হাশর করা হবে নগ্ন পা, নগ্ন দেহে ও খতনা বিহীন অবস্থায়। আয়াত: كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيْدُهُ “আল্লাহ বলেন, যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে আবার সৃষ্টি করব।” [সূরা আম্বিয়া: ১০৫]
আর কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ইবরাহিম আ.-কে পোশাক পরিধান করানো হবে।”
[সহীহ বুখারী, অধ্যায়: ৮১/ সদয় হওয়া, পরিচ্ছেদ: ৮১/৪৫. হাশরের অবস্থা কেমন হবে]
ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত আছে যে,
أن إبراهيم يؤتى له بكرسي على يمين العرش، فيكسى حلة تشرئب إليه أعناق البشر
“আরশের ডান দিকে ইবরাহিম আ. এর জন্য একটি কুরসি (চেয়ার) আনা হবে। এরপর তাকে এমন উন্নত পোশাক পরানো হবে যা মানুষ ঘাড় উঁচু করে দেখবে।”
[বায়হাকী-কিতাবুল আসমা ওয়াস সিফাত ২/২৭৬, হা/৮৩৯]
আলেমগণ বলেছেন, এর কারণ হতে পারে, তিনি একমাত্র নবী যাকে কাফের সম্প্রদায় অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিলো উলঙ্গ অবস্থায়। তাই আল্লাহ তাআলা এর প্রতিদান হিসেবে কিয়ামতের দিন তাঁকে এই মর্যাদায় ভূষিত করবেন। এ বিষয়ে আরও একাধিক মতের মধ্যে এটি সর্বাধিক সঠিক বলে নির্ভরযোগ্য আলেমগণ মত ব্যক্ত করেছেন।
আল্লাহু আলাম।