আমাদের জ্ঞাত-অজ্ঞাত, ইচ্ছা-অনিচ্ছাই কতো নামায কাযা করে ফেলি। মানব জীবনে চলতে গিয়ে সুবিধা-অসুবিধায় অনেক নামায কাযা করে ফেলি। এই কাযা নামাযগুলো আদায় করবো করবো বলে আর আদায় করা হয়না। একসময় এসে কোন অসুখে পতিত হয় নতুবা রবের ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি জমাই।
বর্তমান কাযা নামায থেকে নফল, সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদাহ নামাযের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। জানাযার নামায আদায় করতে অনেকদূর পাড়ি জমান। অথচ, ঘরের দ্বারে মসজিদের ওয়াক্তিয়া ফরয হচ্ছে, তার কোন ফিকির নেই। একটু চিন্তাও নেই।
কাযা নামায আদায় করতে নির্দিষ্ট কোন ওয়াক্তের প্রয়োজন নেই। তিনটা সময় ব্যাতিত বাকি যেকোন সময় কাযা নামায আদায় করা যাবে। সূর্য ওঠা, সূর্য ঢলে যাও, সূর্য স্থির থাকা এই তিন সময়ে নামায আদায় করা যাবেনা। হোক তা কাযা নামায কিংবা নফল। এই তিন সময় যিকির-আযকার করলে কোন সমস্যা নেই।
আমাদের উচিত, নফল ও সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদাহ নামায আদায় না করে কাযা নামায আদায় করা। হ্যাঁ, যদি কেউ নফল, সুন্নাত আদায়ের পাশাপাশি কাযা নামায আদায় করে, তাঁরা যেন নফল, সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদাহ নামায আদায় করে। এতে সে সাওয়াবের ভাগীদার হবে।
আমাদের জিম্মায় কতো ওয়াক্ত নামায কাযা আছে নির্দিষ্টভাবে জানা নেই। তখন মন যতো ওয়াক্ত সাঁই দেয়। যেমন, মন বলছে, আমার জিম্মায় যোহরের পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায কাযা আছে। মন এর বেশি আর সাঁই দিচ্ছে না। তখন আপনি পঞ্চাশ ওয়াক্ত যোহরের নামায কাযা আদায় করবেন। তবে, বাকি নামায ( ফযর, আছর, মাগরিব, এশা) যে পঞ্চাশ ওয়াক্ত হবে এমনটা না।
কারণ, অনেক সময় ফযরের নামায ঘুমের মধ্যে চলে যায়। আছরের নামায খেলার মাঠে চলে যায়। যোহরের নামায অফিস-আদালতে চলে যায়। হতে পারে, আপনার জিম্মায় আছরের নামায পঁয়তাল্লিশ ওয়াক্ত কাযা। ফযরের নামায ষাট ওয়াক্ত কাযা। এশার নামায বিশ ওয়াক্ত কাযা। একটা ধারণা দিলাম।
যখন আপনি কাযা নামাযগুলো আদায় করবেন, মনে মনে নিয়্যাত করবেন, আমি আমার জিম্মার সর্বপ্রথম যোহরের কাযা নামায আদায় করছি। আছরের কাযা নামায হলে যোহরের জায়গায় আছর বলবেন। যদি সম্ভব হয়, প্রতিদিন বিতরসহ বিশ রাকাআত কাযা নামায আদায় করে ফেলবেন।