লিখাটা দেখে চমকে গিয়েছিলাম! আসলেই কি তাই?
স্বামী কি শুধু ভরণপোষণ এর জন্য! মেয়েদের টাকা না থাকলেই কি স্বামীর প্রয়োজন হয়! মেয়েরা এত লোভী!
শুধু নিজের কামাই না থাকলেই স্বামীর দরকার!!!!
অথচ বাবার পর স্বামী হচ্ছে অভিভাবক। স্বামী হলো একজন মেয়ের সবচেয়ে আপনজন!
বিশ্বস্ত সাহচার্য!
সবচেয়ে কাছের মানুষ!
বন্ধু!
আল্লাহ স্বামীর উপর ওয়াজিব করেছেন স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়ভার! ছেলেদের জন্য এটা আল্লাহর হুকুম! মেয়েদের জন্য এটা অধিকার! স্বামী আমাকে ভরণপোষণ দেয় এটা আমার দূর্বলতা না, এটা আমার হক্ব!
আমার বিয়ের পর কিছু থার্ডক্লাস মানুষ আব্বু – আম্মুকে বলত মেয়ের পিছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করিয়ে ভিকারুননিসায় পড়িয়েছেন কি জামাইয়ের বাড়ির থালাবাসন মাজার জন্য!!
আম্মু মুচকি হেসে এড়িয়ে যেত! অথচ তাদের মা ও কিন্তু সারাজীবন তাদের ভাষ্যমতে থালাবাসন মেজেই জীবন কাটালেন!
এদের চোখে শিক্ষিত মায়ের কোন মূল্য নাই! শিক্ষিত বউয়ের কোন মূল্য নাই ফ্যামিলিতে! মূল্য আছে বেহায়াপনা করে টাকা ইনকাম করা নারীদের! আফসোস!
আমি তো ভাবতেই পারি না আমার বাচ্চাকে বাসায় একা ফেলে আমি বিনা প্রয়োজনে, শুধুমাত্র টাকা কামানোর উদ্দেশ্য ঢ্যাং ঢ্যাং করে পর্দার বরখেহেলাফ করে চাকরী করতে যাব! এটা তো আমার স্বামীর জিম্মেদারি।
আমার জিম্মেদারী সংসারটা আগলে রাখা! আমার সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করা।
পুরুষ স্বাবলম্বী হলে চিন্তা করে কিভাবে স্ত্রী সন্তানদের আরো ভাল রাখা যায়। আর বেশিরভাগ নারী সাবলম্বী হলে চিন্তা করে আমার এখন কাউকে দরকার নাই। আমি একাই চলতে পারি।
আর হয়ত একারণেই আমাদের দেশে শিক্ষিত স্বাবলম্বী মেয়েরা ডিভোর্সের শীর্ষে রয়েছে।
জামাই কি শুধু টাকা কামাই করার জন্যই দরকার?
কি রকম ছেসড়া মেন্টালিটি গ্রো আপ করতেসে সো কল্ড ফেমিনিস্ট মেয়েদের ভেতর।
আল্লাহ আপনি আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
সংগৃহীত এবং লিখেছেন
সাইমা জাহিদ