বিয়ের উপহারের বেলায় ‘লাকড়ির টুকরো‘ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হওয়া জরুরি। লাকড়ির টুকরো বলতে বুঝাচ্ছি ক্রেস্ট এবং ওয়াল-ফ্রেইমকে; যেটাতে বর-কনের নাম, বিয়ের তারিখ এবং শুভেচ্ছাবার্তা থাকে।
বিয়ের দিন এটা হাতে নিয়ে ছবি তোলা যায়। তারপর বর-কনের ঘরে সেটা টানিয়ে রাখার জায়গা থাকলে টানানো হয়, নতুবা খাটের নিচে রাখা হয়। এটা এমন এক উপহার, যা কোনো উপকারেই আসে না।
উপহারের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো উপকারে আসা। আপনি টাকা খরচ করে একজনকে এমন কিছু উপহার দিলেন, যা দিয়ে সে কিছুই করতে পারবে না, ফেলে দিতেও পারে, সেই উপহারের কোনো মানে আছে?
সবসময় সামাজিক স্রোতে গা ভাসাতে নেই। আপনি যাকে উপহার দিচ্ছেন, তার চাহিদা আন্দাজ করার চেষ্টা করুন। যদি মনে করেন তাকে টাকা দিলে তার সবচেয়ে বেশি উপকারে আসবে, তাহলে উপহার হিশেবে একটি সুন্দর বক্সে রেপিং পেপারে পেঁচিয়ে কিছু টাকা দিন।
সে বুঝতেই পারবে না যে সেটাতে টাকা আছে। আপনি চলে যাবার পর খুলে দেখবে। খুশি হবে। যদি মনে করেন টাকা দিলে সে কষ্ট পাবে, তাহলে তার কাজে লাগবে এমন কিছু দিন।
মুমিনের কোনো কাজ অনর্থক হতে পারে না।