আমি তিন চিল্লার সাথি, আমার কী প্রতি বছর চিল্লাই যাওয়া লাগবে, আর না গেলে কী হবে, জানলে উপকৃত হতাম।
আপনি তিন চিল্লা দিয়েছেন, খুব ভালো কাজ করেছেন। হয়তো আপনার মধ্যে দীনদারী ও ঈমানদারীর যা কিছু আছে, তার পেছনে এই তিনচিল্লার বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। আপনার নিশ্চয় সেই উপলব্ধি আছে। যদি বিষয়টি এমনই হয়ে থাকে, তা হলে আপনি দাওয়াত ও তাবলীগের এ কাজে লেগে থাকুন এবং তার নিয়মকানুন মেনে চলুন।
এতে আপনিও লাভবান হবেন, আল্লাহ চাহে তো উম্মতও লাভবান হবে। কারণ, যে যেপথে হেদায়াত লাভ কবে, সে সেভাবে লেগে থাকা উচিত, যতক্ষণ না তাতে কোনো জটিল গোমরাহী দেখা দেয়। এটাই তার কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া। এটাই তার দীনের ওপর টিকে থাকার সহীহ তরীকা। নতুবা সে অন্যের দাওয়াতের শিকার হয়ে যাবে এবং দীনদারীর ওপর টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
দাওয়াত ও তাবলীগের একটি নিয়ম হলো, তিনচিল্লার সাথীরা যেন প্রতিবছর ১/৩চিল্লা নিয়মিত দেয়। এতে করে তার দীনদারী আরও মজবুত হয়। কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ে। তাকাযা পূরণ হয়। নতুন সাথীদের নিয়ে চলার মত লোকের অভাব পূরণ। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। প্রভৃতি। সুতরাং একাজের একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে আপনি নিয়মিত কাজ চালিয়ে যান। এবং প্রতি বছর চিল্লা পুরো করুন।
প্রতি বছর চিল্লা দেওয়া ফরজ, ওয়াজিব বা শরীয়তের অত্যাবশ্যকীয় কোন বিধান নয়। আপনি চিল্লা দিলে আপনার নিজের দ্বীনি ফায়দা সাধন হবে। উম্মত আপনার দ্বীনি মেহনতের দ্বারা উপকৃত হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনচিল্লা শরঈ কোনো বিষয় নয়। দীনদারী আসল বিষয়। আপনার দীনদারীর উন্নতিকল্পে এটি আপনার মেনে চলা উচিত। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।