আমার জীবনের শেষ দিন মনে করব
১) ফজরে উঠতে পারি নি। আজকে আর বাকী ৪ ওয়াক্ত পড়ে কী হবে? এরচেয়ে কালকে ফজর থেকে নতুন করে শুরু করবো”!!
এই যে সূদ-ঘুষ খাই, এগুলো খারাপ জানি। একেবারে হাজ্জ করে এসে সব ছেড়ে দেবো।
(৩) শালীনভাবে চলা আমাদের দরকার – এটা মানি। কিন্তু এখন বিভিন্ন কারণে পারি না। যখন পর্দা ধরবো, তখন একেবারে বোরকা-হিজাব-নিক্বাব করবো।
(৪) একটু-আধটু প্রেম-ভালোবাসা খারাপ না। বিয়ের পরে স্ত্রীর প্রতি সৎ থাকলেই তো হলো।
(৫) হিজাব তো করি। দুই/একটা প্রোগ্রামে শুধু হিজাব করি না। ক্লোজ বন্ধু-আত্মীয়দের বিয়ে তো, তাই।
(৬) মুখের উপরে মামাতো বোন, ফুফাতো বোন, খালাতো বোনদের গায়েরে মাহরাম কিভাবে বলি?
এতদিন একসাথে বড় হয়েছি। পিঠাপিঠি বয়স। আমি তো আসলে বোনের মতো দেখি ওদের।
(৭) জন্মের পর থেকেই মামী-চাচীদের কাছে মানুষ। উনারা আমার মায়ের মতো। উনাদের সাথে দেখা না দিলে মানুষ কী বলবে?
(৮) বিয়ে তো জীবনে একবারই করতেছি। একটু মজা করে (হারাম বিষয়াদিসহ) না করলে কি হয়?
__________.লিস্ট লম্বা করতে চাইলে সাচ্ছন্দে করা যাবে। আল্লাহ (সুব’হানাহু ওয়া তা’আলা) শাইত্বানের_ওয়াসওয়াসা এবং নাফসের_তৈরী_নিজস্ব_যুক্তি থেকে হিফাজত করুক। .“নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন হলো ইসলাম।”
[আলে ইমরান, আয়াত ১৯]
إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللّهِ الإِسْلاَمُ
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম
সূরা আল ইমরান – Surah Al-Imran
(Ayah 200)
“…..তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস করো এবং কিছু অংশ অবিশ্বাস করো? যারা এমন করে, পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। ক্বিয়ামাতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে গাফিল নন।”
[আল-বাক্বারা, আয়াত ৮৫]
ثُمَّ أَنتُمْ هَـؤُلاء تَقْتُلُونَ أَنفُسَكُمْ وَتُخْرِجُونَ فَرِيقاً مِّنكُم مِّن دِيَارِهِمْ تَظَاهَرُونَ عَلَيْهِم بِالإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَإِن يَأتُوكُمْ أُسَارَى تُفَادُوهُمْ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْكُمْ إِخْرَاجُهُمْ أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاء مَن يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنكُمْ إِلاَّ خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।
সূরা আল বাক্বারাহ – Surah Al-Baqara
(Ayah 85)