আপনার পোষা প্রাণীকে আপনি কী নামে ডাকেন?
আপনি একটি বিড়াল পালেন। আপনি নিশ্চয়ই আপনার বিড়ালকে আদর করে নাম ধরে ডাকেন? অনেকেই তার পোষা প্রাণীর নামকরণ করে। টিয়া পাখি, বিড়াল, বাছুরের ‘নাম’ দেয়। গৃহপালিত প্রাণী আর বন্যপ্রাণী, রাস্তার প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য রেখা টেনে দেই এই নামকরণ।
কাউকে মানুষ তখনই সুন্দর নামে ডাকে, যখন তাকে ভালোবাসে। এমনকি মানুষের ক্ষেত্রেও তাই। মানুষের পিতৃপ্রদত্ত নাম থাকা সত্ত্বেও মানুষ তার প্রিয় মানুষকে আলাদা নামে ডাকে। সে চায় এমন এক নামে তার প্রিয়তম/প্রিয়তমাকে সম্বোধন করতে, যেই নামে আর কেউ তাকে ডাকে না।
নবিজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রী আয়িশার (রাদিয়াল্লাহু আনহা) নাম ‘আয়িশা’ থাকা সত্ত্বেও নবিজী তাঁকে আদর করে ‘হুমাইরা’ নামে ডাকতেন।
এটা থেকে বুঝা যায়, প্রিয়জনকে ভালোবেসে নতুন নামে ডাকার রীতি নবিজীও পালন করেছেন।
অনেকেই পোষা প্রাণীকে আদর করে সুন্দর নামে ডাকলে বাকিরা এটাকে ‘ন্যাকামো’ ভাবে। তারা বলে, বিড়ালকে আবার ‘স্কারলেট’, ‘ইশকা’ ডাকার দরকার কী? বিড়াল বললেই হয় না?
এই নামকরণটা যে আউট অব লাভ, এটা অনেকেই বুঝতে চান না। এই নামকরণের মাধ্যমে আমরা বুঝিয়ে দিই, এই বিড়াল আর দশটা বিড়ালের মতো না।
মজার ব্যাপার হলো, নবিজীর যুগে নবিজী, সাহাবীগণ পর্যন্ত তাঁদের পোষা প্রাণীর নামকরণ করতেন। একজন মানুষ হেঁটে গেলে যেমন বলা হতো, ঐ যে আনাস হেঁটে যাচ্ছেন, তেমনি একটি ঘোড়া, গাধা, উট হেঁটে গেলে নাম ধরে বলা হতো- অমুক উট যাচ্ছে, অমুক উটের উপর অমুক।
নবিজীর মোট প্রায় ৯ টি ঘোড়া ছিলো। ঘোড়াগুলোর নাম ছিলো। একটি ঘোড়ার নাম ছিলো ‘লুহাইফ’। তাঁর গাধার নাম ছিলো ‘উফাইর’। উটের নাম ছিলো- আযবা, ক্বাসওয়া। তাঁর খচ্চরেরও নাম ছিলো।
নবিজীর মতো সাহাবীরাও পোষা প্রাণীর করতেন। আবু কাতাদার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ঘোড়ার নাম ছিলো ‘জারদা’, আনাস ইবনে মালিকের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ঘোড়ার নাম ছিলো ‘মানদূব’।
আপনার পোষা প্রাণীর নাম কী?