আপনি সূরা ফাতিহা পরে ফু দিলে তখন কাজে লাগবে যদি আপনার ঈমানটা পাক্কা হয় ঈমানের মত ঈমান হয়। এ জন্যে বিশ্বনবী বললেন সূরাতুল ফাতিহা শুধু সূরাতুল ফাতিহার একমাত্র নাম না, এ সূরার অনেক গুলু নাম আছে, এই সূরার অসাধারণ একটা নাম হল সূরাতুশ শিফা।
সূরাতুল ফাতিহা পরে অসুস্থ মানুষের গায়ে ফু দিলে সুস্থ করে দেয় কে, আল্লাহ্। এটাকে আরবিতে বলে রুকিয়াহ, তাবিজ ঝুলাতে নিষেধ করেছেন বিশ্ব নবী। গলায়, হাতে, পায়ে তাবিজ আছে নাকি নাই। এক ছেলেরে দেখলাম গলায় ৩টা হাতে ২টা পায়ে ৪টা কোমরে আবার বাধে সেটাকে বলে কায়তন, তো ছেলে সুস্থ থাকবে কি করে, এইগুলার ওজনে এবং বাড়েইতো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। যে ব্যক্তি তাবিজ ঝুলায়। বিশ্ব নবী বলেছেন, তাবিজ এর দিকে আল্লাহ্ তায়ালা তাকে মুখাপেক্ষী করে দেন, আল্লাহ্র জিম্মা, আল্লাহ্র রহমত বরকত, mercy blessing protection from your lord এই গুলা আল্লাহ্ তায়ালা কেড়ে নেয়, বলেন নাউযুবিল্লাহ।
এই জন্য তাবিজ ঝুলাবেন গলায়, কোমারে যা আছে আজকে ছেড়ে ফেলবেন। আর সূরা ফাতিহা পরে ফু দিবেন সুস্থ করে দিবেন কে, আল্লাহ্ । তবে ঈমান থাকতে হবে, ঈমানটা ঈমান এর মত হতে হবে।
বিশ্ব নবীর জমানায় ইমাম বুখারীর বর্ণনায়, কিছু সাহাবারা খুব সম্বভ আবু সাঈদ আল খুদরী (রা.) এর নেতৃত্বে সফরে বেরিয়েছেন, পথিমধ্যে উনারা দেখলেন আরবদের মরুভুমিতে একটা গ্রাম, এই গ্রামের যে সরদার তাকে বিষাক্ত একটা সাপ দংশন করেছে, আরেক বর্ণনায় এসেছে বিচ্ছু পোকা দংশন করেছে ঐ সাপের কামড় খেয়ে বিষাক্ত অবস্থায় ঐ কওমের, ঐ গুষ্ঠীর সরদার মরে যাওয়ার উপক্রম, চার পাশে ভিড় বেদ্য কবিরাজ এদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে, এরা এসে দোয়া কালাম মন্ত্র তন্ত্র পড়তেছে, সু মন্ত্রের সু কালি কুত্তার গু, বাংলাদেশে বলেনা ছোট বাচ্চারা সু মন্ত্রের সু কালি কুত্তার গু পরে ফু দিতেছে।
আচ্ছা এই সমস্ত মন্ত্র পড়লে কি মানুষ সুস্থ হয়, সাহাবারা বললেন আমাদের কাছে এমন মন্ত্র আছে যেটা পড়ে ফু দিলে মানে রুকিয়া করলে সুস্থ করে দেয় কে আল্লাহ্, এরা কেউ বিশ্বাস করে না বলে এরা তোমরা বেদুঈন যাও মিয়া কি সুস্থ করবা সু মন্ত্র সু কালি কুত্তার গু ই কিছু করতে পারে না, আর তোমরা বেদুইন, নিরাক্ষর উম্মি তোমরা রুকিয়াহ করবে কই থেকে, বিশ্ব নবীর সাহাবী বললেন আমাদের কাছে এমন মন্ত্র আছে , এই জিনিস পড়ে আমি যদি ফু দিয়ে দেই আল্লাহ্র মেহেরবানিতে অসুস্থ মানুষ সুস্থ হয়ে যাবে।
মিজানুর রহমান আজহারী নতুন ওয়াজ ২০২০