সফর মাসের শেষ বুধবারকে আখেরি চাহার শোম্বা বলা হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের আগে যখন খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সফর মাসের শেষ বুধবার দিন যখন তিনি শারীরিক ভাবে হালকা সুস্হ বোধ করেন তখন গোসল করে একটু প্রশান্তি লাভ করেছিলেন। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের শেষ গোসল ছিল।
তাই এই দিনটিকে কেন্দ্র করে কিছু মুসলমানরা ইবাদাত ও সওয়াবের নিয়্যাতে গোসল করে, নফল সালাত আদায় করে ও নফল সাওম পালন করে থাকে। অথচ সাহাবী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সবথেকে বেশি ভালোবেসেছেন। প্রিয় নবিজির জন্য তাঁরা জান- মাল সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবেসে তারা কখনো আখেরি চাহার শোম্বা পালন করেছেন বলে কোনো শক্তিশালী দলিল পাওয়াতো দূরের কথা, দুর্বলতম কোনো দলিলও পাওয়া যায় না। সাহাবা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুগণ থেকে এ দিনের বিশেষ কোনো আমলও প্রমাণিত নয়। আখেরি চাহার শোম্বা নামে কোনকিছুই শরিয়তে নেই।
সফর মাসের শেষ বুধবারের ফযিলত সম্পর্কে যা কিছু দলিল আছে সবগুলো একেবারে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে যে কর্মকাণ্ড গুলো প্রচলিত, এর কোনটাই সহিহভাবে প্রমাণিত নয় বরং সব মনগড়া। তাই আমাদের উচিত বিদআত কাজগুলো কঠোর ভাবে বর্জন করা এবং রব যেন আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে সেজন্য রবের দরবারে দোয়া করা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা উম্মাহকে সঠিক বুঝ দান করুন, প্রচলিত ভুল বিশ্বাস থেকে আমাদের রক্ষা করুন এবং সত্য জেনে তার ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন।