অসুস্থ ব্যক্তি যে দু’আ পাঠ করবে
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,তাঁরা উভয়েই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি বলেছেন-
‘‘যে ব্যক্তি বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার’
[لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أكْبَرُ]
(অর্থাৎ,আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে,
তখন আল্লাহ তার সত্যায়ন করে বলেন,
‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি সবচেয়ে বড়।’
এবং যখন সে বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ’
[لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ]
(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই)।
তখন আল্লাহ বলেন,
‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি একক, আমার কোন অংশী নেই।’
আবার যখন সে বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হাম্দ’
[لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ]
(অর্থাৎ,আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা তাঁরই এবং তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা)।
তখন আল্লাহ বলেন,
‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা আমারই এবং আমারই যাবতীয় প্রশংসা।’
আর যখন সে বলে,
[لاَ إله إِلاَّ اللهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ]
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’
(অর্থ-আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই)।
তখন আল্লাহ বলেন,
‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমার প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই।’
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতেন–
‘‘যে লোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই বাক্যগুলো পাঠ করল, তারপর মৃত্যুবরণ করল, জাহান্নামের আগুন তাকে ভক্ষণ করবে না।”
(সূনান আত তিরমিজী-৩৪৩০ [তাহকীককৃত],দোয়া অধ্যায়)